সোনারগাঁয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁ উপজেলায়ও নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরছে। নির্বাচনের সময় প্রায় মাস খানেরকের মতো আছে। তাই নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। সরকার ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় প্রতীক ছাড়া এবার নির্বাচন হবে। বিরোধী দল নির্বাচনে না আসায়, ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ দলীয় প্রতীক ছাড়া উপজেলা নির্বাচন করবে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে সোনারগাঁ উপজেলায় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের মতো করে। থানা আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও প্রার্থীতার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ বা সংসদ সদস্য দলীয় ভাবে কোন নেতাকে সমর্থন করতে পারবেন না। প্রার্থীদের যার যার যোগ্যতায় নির্বাচন করে পাশ করতে হবে।
সোনারগাঁ পৌরসভার এক প্রবীন লোক জানান, নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা বলেন, আমাকে নির্বাচীত করুন আমি আপনাদের সেবা করতে চাই। এবারের শীতে বা রমজানে কোন নেতাকে চোখে পড়ার মতো শীত বস্ত্র, রোজায় খাদ্য মাসগ্রী বা গরিবদের মাঝে শাড়ি লুঙ্গি দিতে দেখলাম না। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, তারা নির্বাচিত হলে জনগনের সম্পদ লুটপাট করে খাবে। তারা আবার কিসের সেবা করবে।
তবে এবার একাধিক প্রার্থী দেখা যাচ্ছে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে। চেয়ারম্যান পদে প্রচারণায় আছেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা পরিদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মরহুম মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর।সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ১নং সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম তিনি একাধিক বার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার তিনি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদি। বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু, তিনিও এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এবং ব্যাপক গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন। থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু তিনিও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দায় তিনিও চেয়ানম্যান পদে নির্বাচন করবেন। এছাড়াও আরো একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামীলীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম মুকুল, যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাসুম চৌধুরী, শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংগঠনের জেলা সভাপতি আবুল ফয়েজ শিপন, কাচঁপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পারভেজ ইকবাল ,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম খোকন ,আরো একাধিক প্রার্থী গণসংযোগ করছেন।
মাহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম রোমা, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, থানা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট নুর জাহান বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলেনা আক্তার ,সোনারগাঁও উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ্জাদী আক্তার সুমি, শ্যামলী চৌধুরী সহ আরো প্রার্থী আছে।
দলীয় প্রার্থী না থাকায় একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার সুযোগ পাবেন। বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায়। সোনারগাঁয়ের নেতারা কে কতটুকু জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে তা যাচাই করার সময় মাত্র এবার নির্বাচনে।
0 Response to "সোনারগাঁয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন"
Post a Comment