জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাস্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র - ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি
Saturday, August 31, 2024
Comment
সোনারগাঁয়ের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দ্বন্ধের জেরে গত ১১ আগষ্ট সোনারগাঁ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনির বিরুদ্ধে ৬১জন মুক্তিযোদ্ধা অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এর নিকট লিখিত অভিযোগ দেন তারা। তবে অনিয়মের বিষয়টি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও অমূলক দাবী করে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি বলেছেন এগুলো আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা গেছে সোনারগাঁয়ে ভারতে ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৯৪ জন আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১৫৯জন।
তবে সোনারগাঁয়ে অমুক্তিযোদ্ধাদেরকে টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাইয়ে দেয়া হয়েছে বলে। দীর্ঘদিন যাবত দাবী করে আসছে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ। এ বিষয়েও অভিযোগের তীর ওসমান গনির দিকে।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি বলেন, আমি ভারতের আসম রাজ্যের লায়লাপুর ক্যান্টনমেন্টে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছি। আমার জানা মতে সোনারগাঁয়ে ৮০জন অমুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা, মোহাম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন কাওসার ও রূহুল আমিন বাদশা কমান্ডারের দ্বয়িত্ব পালন কালে এ অমুক্তিযোদ্ধাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে।
আমি ২০১০ ও ২০১৪ সালে দুইবার ডেপুটি কমান্ডার ছিলাম। দুই বারই কমান্ডার ছিলেন সোহেল রানা। আমাদের মেয়াদে নতুন করে কোন মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। সুতরাং নতুন মুক্তিযোদ্ধা বানানোর দায় আমার কিংবা আমার প্যানেলের নয়।
আমি বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ও মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষনায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য ভারতে ট্রেনিং নেই। পরে দেশে এসে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করি। সোনারগাঁ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এ পর্যন্ত আমি একবার সাংগঠনিক কমান্ডার ও দুই বার ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। আমার প্রতিপক্ষ প্যানেল প্রতিবারই নির্বাচনে জামানত হারিয়েছে তাই তারা আমার প্যানেলের প্রতি সব সময়ই বিদ্বেষ পোষণ করে আসছে।
ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে আমি সোনারগাঁয়ের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছি। সোনারগাঁ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, বিজয় স্তম্ভ, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর নির্মাণ,পৌরমুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল স্কুল নিমার্ণে ভুমিকা রেখেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখেই কয়েকজন স্বার্থান্বেষী মানুষ আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে কিন্তু যে কোন বিবেকবান মানুষই এটা স্বীকার করবেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকল বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার কমান্ডারের, ডেপুটি কমান্ডারের নয়। সুতরাং আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানির জন্য এসব করা হচ্ছে এটা একেবারেই স্পষ্ট।
মুক্তিযুদ্ধের পর আমি বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে কর্মরত ছিলাম ১৯৯৫ সালে ব্রুনাই চলে যাই। পরে ২০০১ সালে দেশে আসার পর ২০০২ সালে বিএনপি শাসনামলে আমাকে সাংগঠনিক কমান্ডার করা হয়। আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ৬১জন মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন অভিযোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা আত্মসাত করেছি এটা কেউ প্রমান করতে পারবেন না বরং আমি আমার নিজের টাকা খরচ করে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকেছি। আমার পৈত্রিক সম্মত্তি বিক্রি করে গাড়ি বাড়ি করেছি সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সোনারগাঁয়ে পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তাদের মধ্যে ৬১ জন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো আমি যদি অপরাধীই হতাম তাহলে বাকিরা কেন অভিযোগ করলো না?
তিনি বলেন একটি কুচক্রি মহল পৌর মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় দখল করেছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
যেহেতু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ গেছে তিনিই তদন্ত করে দেখুক এ ঘটনার সত্যত্য কতটুকু।
0 Response to "জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাস্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র - ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি"
Post a Comment