Top Ads

বৈদ্যেরবাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান

বৈদ্যেরবাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান


নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ,

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের সুনাম এক সময় দেশব্যাপী ছিল। কিন্তু দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেনের কারেণ সুনাম হারাচ্ছে। তাই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী তার অপসারণ চেয়ে প্রশাসনের  বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তার আর্থিক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম-দূর্নীতির কথা তুলে ধরে বিদ্যালয়ের ৩১জন শিক্ষক কর্মচারীর স্বাক্ষরে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপির অনুলিপি সোনারগাঁ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও দেওয়া হয়েছে।

স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, যে সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে আর্থিক অনিয়ম, নারী কেলেঙ্কারী, সেচ্ছাচারিতা, শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কোন শিক্ষক কর্মচারী প্রতিবাদ করলেই তাকে চাকুরিচুত্যের ভয় দেখিয়ে হয়রানি ও আতঙ্কের মধ্যে রাখেন।

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, যে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাধর জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় প্রধান শিক্ষক নির্বিঘ্নে নিজের অপকর্ম চালিয়ে গেছেন। তিনি সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হওয়ার কারনে এসব অপকর্ম সহজে করে গেছেন। প্রধান শিক্ষক কখনোই শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করাতেন না। তিনি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মাসে স্কুল ফান্ড থেকে ৩১ হাজার টাকা বেতন নিতেন। এসব অপকর্মের জন্য তাকে অপসারণ করে শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করেন।

বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রত্যেক শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় প্রতিদিন স্বাক্ষর করেন। প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন দুই তিন সপ্তাহ পর এসে একদিনের মনগড়া সব স্বাক্ষর করেন হাজিরা খাতায়। আপ্যায়ন ও যাতায়াত ব্যয়ের নামে তিনি লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তিন বছরে তিনি প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষাক কুইন ফেরসৌদ জানান, প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিএড সার্টিফিকেট জাল। এ জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে তিনি কি ভাবে প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল রয়েছেন আমরা তা বুঝতে পারি না। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন পলাতক রয়েছেন। তিনি অনেক দিন হয় স্কুলে আসেন না।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ সত্য নয়। তবে শিক্ষকদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি বাকি কথা পাশ কাটিয়ে যান।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান বলেন, বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 Response to "বৈদ্যেরবাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান"

Post a Comment

Ads on article

Ads Inside Post

01%20120x36%20copy

advertising articles 2

Advertise under the article