তাসাউফ বা সুফীবাদ কী
মঈন চিশতী*
সুফীবাদ বা তাসাউফ ইসলামী আধ্যাত্মিক দর্শন। মানবাত্মা সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। সুফীবাদের একমাত্র মূল বিষয়টি হলো- আপন প্রাণ বা আত্মার সাথে পরমাত্মা ‘আল্লাহ’ যে শয়তানকে আমাদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছে, তার সাথে জেহাদ করে থেকে মুক্তি লাভ করা। এক কথায় এই জড় জগত থেকে মুক্তি পাওয়া। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক স্থাপনই হল এই দর্শনের মর্মকথা।
সুফীবাদের সংজ্ঞা
পরম সত্তা মহান আল্লাহকে জানার আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আধ্যাত্মিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সুফীবাদ বলা হয়। ইমাম গাজ্জালীর (র.) মতে, আল্লাহ ব্যতীত অপর মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে পবিত্র করে সর্বদা তাঁর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ণরূপে আল্লাহতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সুফীবাদ । শেখ সাদী বলেন, ‘এই সমুদ্রে হাজার কিশতী ডুবে গেছে, কিন্তু একটিও ভেসে উঠে নদীর তীরে পৌঁছেনি।’
জড়বাদ মানুষের যে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে বুদ্ধিবাদ তা পূর্ণ করতে পারেনি বলে সে শূন্যতা পূরণ করেছে ইলমে তাসাউফ বা আধ্যাত্মিকতা। এবং এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানের নামই হলো সুফীবাদ। মানুষের জীবন আত্মা ও দেহের সমন্বয়ে গঠিত। যে জ্ঞানের সাহায্যে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা হয়, তাকে এলমে তাসাউফ বলা হয়।
‘সুফী’ শব্দের উৎপত্তি:
ইবনে খালদুন, ড. এ. ই. আফিকী প্রমুখ পন্ডিতদের মতে, ‘সুফী’ শব্দটি সুফুন থেকে নির্গত; যার অর্থ পশম। পশমী বস্ত্র সরলতা ও আড়ম্বরহীনতার প্রতীক। নবীজি সাল্লামাহু এবং তাঁর সাহাবীরা বিলাসী জীবনযাপনের বদলে সাদাসিধা পোশাক পরিধান করতেন পরবর্তীকালে সুফীরা সাদাসিধা সরল জীবনযাপনের জন্য এই পোশাক গ্রহণ করে কম্বলকে সম্বল করে চলতেন বলে তাঁদেরকে সুফী বলা হয়।
আলী হুজবীরি দাতা গঞ্জে বকশ র.,এবং মোল্লা জামীর (র.) মতে, সুফী শব্দটি সাফা থেকে নির্গত, যার অর্থ পবিত্রতা, আত্মশুদ্বি ও সচ্ছলতা। যাঁরা আত্মার শুদ্ধির সাধনায় নিয়োজিত থাকেন, তাঁদের সুফী বলা হয়। মুসলিম দার্শনিকেরা ও আধ্যাত্মিক সাধনায় সাধনাকারী ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে সুফীবাদের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।
ইমাম শামি দামেশকী (র.) বলেন, ‘সুফীবাদ হলো আধ্যত্মিক জ্ঞান, যে জ্ঞানের সাহায্যে মানুষের সৎগুণাবলির প্রকারভেদ এবং তা অর্জনের পন্থা ও অসৎগুণাবলির প্রকারভেদ জানা ও তা থেকে রক্ষার উপায় জানা যায়।
ইমাম গাজ্জালি (র.) বলেন, ‘তাসাউফ এমন একটি বিদ্যা, যা মানুষকে পশুত্ব থেকে উন্নীত করে মনুষ্যত্বের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেয়।’
উল্লিখিত সংজ্ঞাগুলো পর্যালোচনায় বলা যায়, নবীজি সাল্লামাহু -এর নির্দেশিত পথে আত্মশুদ্ধি করে ইসলামের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ জীবনের প্রেমময় বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে পরম সত্তার পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন ও তার নৈকট্য লাভের রহস্যময় উপলব্ধিকে সুফীবাদ বলা হয়।
সুদীবাদের উৎপত্তি:
সুফীবাদের উৎপত্তি সম্পর্কে পণ্ডিতদের মধ্যে নানা মতবিরোধ লক্ষ্য করা যায়। তাঁদের মতামতগুলো পর্যালোচনা করলে যা পাওয়া যায়-১) বেদান্ত ও বৌদ্ধ দর্শনের প্রভাব; ২) খ্রিস্টীয় ও নিও-প্লেটনিক এবং বাউল দর্শনের প্রভাব; ৩) পারসিক ধর্মের প্রভাব এবং ৪) ইসলাম বা কোরান-সুন্নাহর প্রভাব।
পাশ্চাত্যের কিছু চিন্তাবিদ তথা গোল্ডজিহার, এইচ মার্টেন প্রমুখদের মতে, সুফীবাদ বেদান্ত দর্শন ও বৌদ্ধ দর্শন থেকে উদ্ভূত।
কিন্তু, হাসান বসরী, জুন্নুন মিসরী, আবুল হাশিম কুফী, ইব্রাহীম বিন আদহাম, রাবেয়া বসরী প্রমুখ সুফীদের আবির্ভাব ও সাধনা প্রমাণ করে, সুফীবাদ ভারতীয় দর্শন নয়, বরং ইসলামের আধ্যাত্মিক শিক্ষার ফলে সুফীবাদের উদ্ভব ঘটে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৌদ্ধধর্মে নির্বাণ সত্তায় আত্মবিলোপ শেষ স্তর হলেও মুসলিম সুফীরা ফানাকে শেষ স্তর বলে মনে করেন না বরং তাঁরা বাকাবিল্লাহকে সুফী সাধনার সর্বশেষ স্তর মনে করে থাকেন।
যদিও অধ্যাপক নিকলসন ও ভনক্রেমার এ মতামত ব্যক্ত করেছেন যে, মুসলমানদের ভেতর সুফীবাদের আবির্ভাব ঘটেছে খ্রিস্টীয় ও নিওপ্লেটনিক মতবাদ থেকে। কিন্তু তাদের বিপরীতে যুক্তি হলো, মুসলিম সুফী সাধকরা খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ সন্যাসীদের মতো সংসার-বিরাগী নয়।
ঐতিহাসিক ব্রাউনি ও তাঁর অনুসারীদের মতে, সুফীবাদের উৎপত্তি ঘটেছে পারসিক প্রভাব থেকে। তবে এ মতও অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। কারণ আবু বকর ইবনুল আরাবী ও ইবনুল ফরিদসহ অনেক দার্শনিক আরবীভাষী ছিলেন। প্রকৃত অর্থে, ইসলামী আধ্যাত্মিক শিক্ষার মূল উৎস হলো কোরান এবং সুন্নাহ।
যদিও কোরান-সুন্নাহয় ‘সুফীবাদ’ শব্দটি সরাসরি ব্যবহৃত হয়নি; তবে অসংখ্য আয়াত ও হাদীস দ্বারা সুফীবাদ তথা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের দিকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। ইবনে খালদুন অত্যন্ত জোর গলায় বলেন, ‘সুফীবাদ এমন এক ধর্মীয় বিজ্ঞান, যার উৎপত্তি খোদ ইসলাম থেকে হয়েছে।’
আল কোরানের অসংখ্য আয়াত রয়েছে, যার দ্বারা মরমীবাদকে ইসলামে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন-
১) ‘তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে।’ (বাকারা : ২৫৫)
২) ‘তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।’ (হাদিদ : ৩)
৩) ‘তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাকো।’ (হাদিদ : ৪)
৪) ‘তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে।’ (বাইয়েনা : ৫)
৫) সুফফাবাসী সাহাবীদের জীবন চরিত হাদীসেও তাসাউফের কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়।
একদা নবীজি মোহাম্মদ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে ইহসান কী? তিনি উত্তরে বলেছিলেন, ‘ইহসান হলো এ বিষয় যে, তুমি যখন নামাজ পড়বে, তখন তুমি এ মনে করবে যে, আল্লাহকে তুমি দেখছ আর তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই মনে করবে যে, আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।
অর্থাৎ আল কোরানের আয়াত ও হাদীস দ্বারা এ কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে সুফীবাদ কোরান-হাদীস থেকে নিঃসৃত একধরনের বাতেনী জ্ঞান। স্মরতব্য, ইসলামী পরিভাষায় যে জ্ঞান একাগ্রতা ও ধ্যানের মাধ্যমে অর্জন হয় এবং তার কোন সীমা পরিসীমা নেই সেই জ্ঞানকে ইসলামিক পরিভাষায় ‘বাতেনী জ্ঞান বলে।
নবীজি সাল্লামাহু হেরা গুহায় গভীর ধ্যানে নিমজ্জিত থাকতেন, যার দ্বারা বুঝা যায় তিনি আধ্যাত্মিক জীবন সাধনায় প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতেন। কোরান-সুন্নাহয় সুফীবাদকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- এলমে বাতেনি, এলমে লাদুনি, এলমে তরিকত, এলমে মা’রিফত।
শেখ সাদী বলেন
"এলমে বাতেন হামচুঁ মেসকাঁ এলমে জাহের হামচুঁ শের // কায় বুয়াদ বে পীরও মেসকাঁ কায় বুয়াদ বে শীর শের''
তাসাউফ কী এবং কেন?
তাসাউফের এলেম মুলত দুই প্রকার যথা-
১.ইলমুত তাসাউফ:
ইলমুত তাসাউফ তথা তাসাউফের এলেম হচ্ছে তরিকতের সাধনার পথে ঈমান-আক্বিদা, আমল-আখলাক, সায়ের-সুলুক, উরুজ-নুজুল, মাকাম-মঞ্জিল, দায়েরাসমূহ, ছালেকের হাকিকী অবস্থা, বেলায়েত এবং বেলায়েতের স্থরসমুহ, আকরাবিয়াত, ইত্যাদি বিষয়ক বাহ্যিক যে বর্ণনা সাধকগণ দিয়েছেন এটাকেই বলে ইলমুত তাসাউফ তথা তাসাউফের ইলম।
২.হালুত তাসাউফ:
হালুত তাসাউফ বা তাসাউফের হাল এটা বুজুর্গানে দ্বীন তথা সুফীয়ায়ে কেরামের ক্বলবের সাথে সম্পৃক্ত তাসাউফের মূল সারমর্ম এটাই। তাসাউফের প্রথম প্রকারের ইলমের খবর কম বেশী সবাই জানলেও দ্বিতীয় প্রকারের জ্ঞান তথা সাধকের ক্বলবের হালতের খবর, নূরের জগতের তাজাল্লিয়াতের নমুনা, হাক্বিক্বী জগতের অবস্থা সম্পর্কে সাধক ব্যতিত এই ইলম বা জ্ঞানের সামান্য এলেম বা জ্ঞান পৃথিবীর কেউ জানে না বা জানা সম্ভব নয়।যেমন তুর পাহাড়ে মুসা নবী আ. আল্লাহর নূরে তাজাল্লী দেখে যে অনুভূতি হয়েছিলো তিনি তা বুঝে রাব্বি আরিনি (প্রভুহে দেখা দাও) বলার পর আল্লাহ সুবহানাহু বলেছিলেন "লান তারানি আমাকে দেখতে পাবেনা"
যেমন সূরা আরাফ এর ১৪৩ আয়াতে উল্লেখ আছে-
وَلَمَّا جَآءَ مُوسَىٰ لِمِيقَٰتِنَا وَكَلَّمَهُۥ رَبُّهُۥ قَالَ رَبِّ أَرِنِىٓ أَنظُرْ إِلَيْكَ قَالَ لَن تَرَىٰنِى وَلَٰكِنِ ٱنظُرْ إِلَى ٱلْجَبَلِ فَإِنِ ٱسْتَقَرَّ مَكَانَهُۥ فَسَوْفَ تَرَىٰنِى فَلَمَّا تَجَلَّىٰ رَبُّهُۥ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُۥ دَكًّا وَخَرَّ مُوسَىٰ صَعِقًا فَلَمَّآ أَفَاقَ قَالَ سُبْحَٰنَكَ تُبْتُ إِلَيْكَ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلْمُؤْمِنِينَ
ওয়া লাম্মা-জাআ মূছা-লিমীক্বাতিনা ওয়া কাল্লামাহূরাব্বুহূ ক্বা-লা রাব্বি আরিনী আনজুর ইলাইকা ক্বা-লা লান তারা-নী ওয়ালা-কিনিনজুর ইলাল জাবালি ফা ইনিছ তাকাররা মাকা-নাহূ ফাছাওফা তারানী ফালাম্মা-তাজাল্লা-রাব্বুহূ লিলজাবালি জা‘আলাহূ দাক্কাওঁ ওয়া খাররা মূছা-সা‘ঈক্বা- ফালাম্মা আফা-ক্বা ক্বা-লা ছুবহানাকা তুবতু ইলাইকা ওয়া আনা আউওয়ালূল মু’মিনীন।
তারপর মূসা যখন আমার প্রতিশ্রুত সময় অনুযায়ী এসে হাযির হলেন এবং তাঁর সাথে তার পরওয়ারদেগার কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রভু, তোমার দীদার আমাকে দাও, যেন আমি তোমাকে দেখতে পাই। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কস্মিনকালেও দেখতে পাবে না, তবে তুমি পাহাড়ের দিকে দেখতে থাক, সেটি যদি স্বস্থানে দঁড়িয়ে থাকে তবে তুমিও আমাকে দেখতে পাবে। তারপর যখন তার পরওয়ারদগার পাহাড়ের উপর আপন জ্যোতির বিকিরণ ঘটালেন, সেটিকে বিধ্বস্ত করে দিলেন এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। অতঃপর যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে এল; বললেন, হে প্রভু! তোমার সত্তা পবিত্র, তোমার দরবারে আমি তওবা করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করছি।
তেমনি সাধকগণও ছায়ের-সুলুক, মাকাম-মঞ্জিল ইত্যাদি সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা প্রকাশ করলেও ক্বলবের হালতের ইলিম কখনও প্রকাশ করেন না, কারণ এটা প্রকাশের কোন ভাষা নেই, কোন ব্যাকরণ নেই, প্রকাশ করার কোন অবকাশও নেই ।
ইলমে তাসাউফ দুই প্রকার:
১.ইলমুজ জাহের তথা বাহ্যিক জ্ঞান।
২.ইলমুল বাতেন তথা আত্মিক জ্ঞান।
১.ইলমে জাহের বা বাহ্যিক জ্ঞান হচ্ছে যা দিয়ে কোন সাধক তার সাধনার পথে অগ্রসর হওয়ার সম্বল সঞ্চয় করেন যেমন
ঈমান-আক্বিদা, আমল-আখলাক, তওবা, যুহদ, তাক্বওয়া, অরা', খওফ, খাশিয়াত, রিয়াজত, ছবর, তাওয়াক্কুল, রেজা, তসলিম, ইত্যাদি।
যারা সাধক নন শুধু আলিম তারা ইলমে তাসাউফের এই অংশটাই প্রচার করে থাকেন এবং এটাই তাদের জন্য নিরাপদ
২.ইলমুল বাতেন বা আত্মিক জ্ঞান হচ্ছে- বাহ্যিক জ্ঞান দিয়ে সাধক নিজেকে সাজিয়ে তোলার পর সাধকের মধ্যে নূরের বিভিন্ন তাজাল্লি প্রকাশ হতে শুরু করে এবং সেই নূরেই সাধকের রূহ আলোকিত হয়ে সায়ের মা' আল্লাহ বা সুলুকে হাকিকী তথা খোদা প্রাপ্তির পথে আত্মিক পরিভ্রমন শুরু করে দেয়। এই ভ্রমনের পথে সাধক বিভিন্ন নুরের তাজাল্লি তথা তাজাল্লিয়াতে জাত, তাজাল্লিয়াতে সিফাত, তাজাল্লিয়াতে আফআ'লের নূর লাভ করেন।ফলে তিনি
মাকাম-মঞ্জিল, উরুজ-নুজুল, দায়েরাসমূহ,
বেলায়াত, আক্বরাবিয়াত, বেলায়েতের স্তরসমূহ, কামালাত, কামালাতের স্তরসমূহ, হাক্বিক্বত, হাক্বিক্বতের স্তরসমূহ পার হয়ে
জাতে মোজাররাদ পর্যন্ত পরিভ্রমন করে একজন সাধক সর্বপ্রকার জ্ঞানে জ্ঞানী হয়ে আরেফ বিল্লার জ্ঞান অর্জন করে তা থেকে কিঞ্চিৎ যে বর্ণনা মানুষের মাঝে পেশ করেন তাকেই ইলমুল বাতেন তথা আত্মিক জ্ঞান বলে।
এই প্রকার এলেম প্রাপ্তি বা সাধনা ছাড়া তা প্রকাশ এবং প্রচারে মনোনিবেশ করে সে যেন নিজেই নিজেকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করলো।
কালামে পাকের ভাষায় লিমা তাক্বুলুনা মা লা ফাফ'আলুন তোমরা তা কেন করো যা নিজেরা আমল করো না?
আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে এলমে তাসাউফের নূর দ্বারা হৃদয় আলোকিত করে দিন, আমিন।
সোনারগাঁ পরগণার হাদী ও মুবাল্লিগ মাওলানা লালপুরী শাহর ৫১ তম উরস মাহফিলকে স্বাগত জানিয়ে।
মঈন চিশতী
২২/১১/২০২৪
গদীনশীনপীর ও পরিচালক
লালপুরী দরবার শরীফ কমপ্লেক্স, নুনেরটেক
আনন্দবাজার, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।
0 Response to "তাসাউফ বা সুফীবাদ কী"
Post a Comment