বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে নারীর শ্লীলতাহানী ও মারধর থানায় অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জ নারাবেলা
বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে নারীর শ্লীলতাহানী ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশি সামসুদ্দিন রাতের আধারে জোড় করে বাড়িতে প্রবেশ করে মনিরের স্ত্রী ও তার মেয়েকে মারধর করে আহত করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে নুনেরটেক ডিয়ারা পশ্চিম পাড়ায়। এ বিষয়ে মনির হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাগেছে, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক ডিয়ারা পশ্চিম পাড়া একই গ্রামের মোকবুলের ছেলে মনির হোসেন ও তার প্রতিবেশি আদম আলীর মেয়ে সালমা বেগম বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত আট ডিসেম্বর রাতে সালমা বেগম আর স্বামী সামসুদ্দিনসহ ৪/৫জনের একটি দল রাতের আধারে মনিরের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে মনিরের স্ত্রী আসিয়া বেগমকে এলোপাথাড়ি ভাবে লাঠি ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে, মাকে বাঁচাতে মেয়ে মিথিলা মীম এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। মা মেয়ের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের গুম হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য ককমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
এ ঘটনায় মনির হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদি মনির হোসেন বলেন, আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে সালমা ও তার স্বামী দীর্ঘ দিন হয়। আমি ঢাকায় চাকরি করি। আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করায় রাতের আধারে সালমাও তার স্বামী আমার স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে। সামসুদ্দিন আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী করে জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে। আমি তার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা গত মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি এম আব্দুল বারি জানান, নারীর উপর হামলার একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
,
0 Response to "বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে নারীর শ্লীলতাহানী ও মারধর থানায় অভিযোগ "
Post a Comment